সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রকে মৌলিক নীতিরূপে বজায় রেখে কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে মৌলিক নীতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছেন। সরকার জানিয়েছে, এই ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে দেশে একধরনের সামাজিক নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মতে, সরকার ভালো কিছু দেখাতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা কথাও বলছে না। মানুষের বাঁচার সংকট যেমন সমাধান করতে হবে, তেমনি সংস্কার ও নির্বাচনের পথ, গণতন্ত্রের পথও তৈরি করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠনের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটটি বলছে, সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব